সত্যজিত রায় আমার চোখে…

“আপনারা কি ভেবেছেন কি ? আমরা কি জানোয়ার ? আপনাদের বাড়ির চাকরবাকর ?”
.
দরজা ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ভেতরে ঢুকে আসে সিদ্ধার্থ। এই, শুধু এইটুকুর জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বী আমার সবথেকে বেশীবার দেখা সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা।।খেয়াল করবেন, সত্যজিতের বেশ কিছু সিনেমা কখনও কখনও বেশ কম আলোচিত। এটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, সরলীকরণও করছিনা! কিন্তু সত্যজিতের পাঁচটা ছবি বেছে নেওয়ার অপশন দিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাকেট লিস্টে গুগাবাবা, অপু ট্রিলজি সিরিজ থেকে যেকোন একটা থাকে দেখেছি। চারুলতা আরেকটা পপুলার চয়েস, ফেলুদা তো আছেই! দেবী, জলসাঘর, আগন্তুক, ঘরে বাইরে – এবার আপনিও খেয়াল করুন অভিযান, গণশত্রু, অশনিসংকেত শাখাপ্রশাখা অরণ্যের দিনরাত্রি এগুলো আস্তে আস্তে কেমন পিছিয়ে যাচ্ছে কিউতে! ঠিক এইভাবেই কেন জানিনা কিছুটা পিছিয়ে যায় ক্যালকাটা ট্রিলজির – প্রতিদ্বন্দ্বী, সীমাবদ্ধ এবং জনঅরণ্য।
.
ষাট দশকের শেষের দিকে নকশালবাড়ির আন্দোলনকে সত্যজিৎ অপছন্দ করতেন কারণ তাঁর মতামত ছিল যে এটা বামপন্থীদের ভেতরকার দ্বন্দ্ব। ১৯৭২-৭৩ সালের সাইট অ্যান্ড সাউন্ড পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দুঃখজনক ঘটনা এটাই যে বামপন্থী আন্দোলন বিভিন্ন দলে বিভক্ত, এবং তারা একে অপরের শত্রু। তারা উদারপন্থী বা সংরক্ষণপন্থীদের আক্রমণ করে না, তারা প্রকৃত শত্রুকে আক্রমণ করে না। পরিবর্তে তারা পরস্পর পরস্পকে আক্রমণ করে। এবং আমি বিশ্বাস করি না যে বামপন্থী দল বলে তেমন কিছু আর আছে। ভারতে এখন তিনটে কম্যুনিস্ট পার্টি, আর আমি তার কোন মানে খুঁজে পাই না।”
.
সেই সময়টায় যখন শিল্পীদের রাজনৈতিক পক্ষ না নেওয়াটাই একটা মস্তবড় সুবিধাবাদ, সত্যজিৎ তখনও আত্মমগ্ন সাধকের মত কাজ করে গেছেন৷ সাধক, কিন্তু আত্মমগ্ন।। যিনি নিজের পরিচালনা, বইপত্র, ফিল্ম পত্রিকা পড়া, বিদেশী ছবি দেখা, পত্রিকা সম্পাদনা এর বাইরের গনগনে রাজনীতিকে কোনভাবে হয় ছুঁতে চাননি নয় ছুঁতে পারেননি। ঋত্বিক ঘটক বা মৃণাল সেনের মত পলিটিকাল কম্পালশন তার নেই। তিনি স্বাধীন শিল্পী, পিপলস আর্টিস্ট নন। একাত্তরেই “সিকিম”, বাহাত্তরে বিনোদবিহারীকে নিয়ে “দ্য ইনার আই” তথ্যচিত্র, তিয়াত্তরে অশনিসংকেত, চুয়াত্তরে সোনার কেল্লা। পাশাপাশি সময়ে ঋত্বিক ঘটককে দেখা যাক- ১৯৭০ এ আমার লেনিন, চুয়াত্তরে যুক্তি তর্ক গপ্পো। তারমাঝে একগুচ্ছ ডকুমেন্টারির কাজও করেছেন, পুরুলিয়ায় ছৌ নাচ নিয়ে করা তথ্যচিত্র তারমধ্যে একটা।। ১৯৭১-৭৬ মৃণাল সেনের একটানা কাজের মধ্যে চারটে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ভাষ্যের ছবি- ইন্টারভিউ, কলকাতা ৭১, পদাতিক, কোরাস।
.
এর মাঝে লড়ে যাওয়া সত্যজিত রায়ের একমাত্র ছবি প্রতিদ্বন্দ্বী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মূল উপন্যাস নিয়ে তৈরী সিনেমা যা তাকে কমফোর্ট জোনের বাইরে নিয়ে এসেছিলো। এই আলোচনার মনোযোগ আসলে পরিচালক সত্যজিৎ কতটা পলিটিকাল ছিলেন, বামপন্থী বা বামবিরোধী ছিলেন কিনা তার কাটাছেঁড়া বা সমালোচনা করার জন্যে নয়। না, আসলে সে যোগ্যতা বা ধৃষ্টতা আমার নেই। এই নিবেদন সেই ছেলেটির যাকে প্রতিদ্বন্দ্বীর ধৃতিমান প্রথম ‘উত্তাল সত্তরের দশক’ ‘গণজাগরণের দশক’ ‘বিপ্লবের দশক’ এর মত কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার না করেও একটা অস্থির সময়কে সহজ করে বোঝাতে পেরেছিল। একজন শিল্পীর সর্বশেষ দায়বদ্ধতা যে তার দর্শকের কাছে, এবং তারপরেও দর্শক ছাড়িয়ে মাস বা খেটে খাওয়া মানুষের কাছে, সেটা বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে সবথেকে টার্বুলেন্ট টাইম, ঝড়ের কেন্দ্রে থাকা সময়ে না জন্মেও আমি সত্যজিৎ রায়ের সৌজন্যে বুঝতে শিখেছি, প্রতিদ্বন্দ্বী আমায় রাজনৈতিক হতে শিখিয়েছে। তিনটে মেডিকেলের বই বেচে যে ভাইকে চে গুয়েভারার বই কিনে দেয় সে আসলে বামপন্থী, ইন্টারভিউতে গিয়ে পঁচাত্তর জনের বসার চেয়ার নেই দেখে যে ছেলে বলে “কত্তাদের বলে চেয়ারের ব্যবস্থা করতে হবে, কেউ সঙ্গে যাবেন ?! ” – সে আসলে একজন ইউনিয়ন লিডার এই ছোট ছোট ভাগ করে বুঝে নেওয়াগুলো সম্ভব হয়েছিল তিনি আমাদের জন্যে ছবিটি বানিয়েছিলেন বলেই। অন্তত একজনের কাছে তিনি দায়বদ্ধ ছিলেন।
.
৬৭’তে নকশালবাড়ি অভ্যুত্থান, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ, কাশীপুর বরানগর। বাহাত্তর থেকে সাতাত্তর শহরের যৌবন হেঁটেছে ব্ল্যাক আউটের কানাগলি দিয়ে। সিদ্ধার্থকে ইন্টারভিউয়ার যখন প্রশ্ন করেন “ফুল ভাল লাগে ?! ” সে উত্তর দেয় “নট আনকন্ডিশনালি!” সত্যিই তো! খামখা সব ফুল ভাল লাগতে যাবে কেন ? ভিয়েতনামের প্রতিরোধকে মুগ্ধতা নিয়ে দেখতে গেলেই যে কমিউনিস্ট হতে হয়না সিদ্ধার্থ বোঝাতে পারেনি, চাকরিটাও হয়নি। শ্যামলেন্দুর মত মধ্যবিত্ত ঘুণপোকায় কাটেনি, সোমনাথের মত অভাবে বিক্রি হয়নি, সিদ্ধার্থ রোবাস্ট, সিদ্ধার্থ ইমপেনিট্রেবল। কেয়া অব্দি ভেদ করতে পারেনা “আপনি আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যান দেখি প্রায়ই! বাব্বা ভুরুটুরু কুঁচকে গুরুগম্ভীর মুখে কত কি ভাবতে ভাবতে যান কে জানে?!” এটা ঘটনা যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মূল উপন্যাসের শেষটার
সাথে সত্যজিতের সিনেমার শেষের একটা বড়সড় ফারাক আছে। সুনীলের প্রোটাগনিস্ট বুকে অনেক দ্রোহ নিয়ে রাইফেল তুলতে চেয়েছিল। তুলনায়
সিনেমার সিদ্ধার্থর দিনাজপুরের চাকরিতে ঢোকা একটা মরবিড সেটলমেন্ট এর মত। তবুও সিদ্ধার্থ আশ্চর্যরকম ভাবে অগ্নিবাহক। শ্যামলেন্দু পুঁজির দালাল হয়ে যায়, সোমনাথ ভিক্টিম। সিদ্ধার্থ সত্তরের রাগের সিম্বল হয়ে যায়।
.
অথচ রিলিজের পর সাংবাদিক তাঁকে যখন প্রশ্ন করেন – “যদি আপনি সত্যিকার রাজনৈতিক ছবিই করবেন ঠিক করেছিলেন তাহলে এই রাজনৈতিক চরিত্র টুলুকে কেন্দ্রীয় চরিত্র কেন করলেন না?” উত্তরে সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন- “কেন-না নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্বাস (লাইন) আছে এমন একটি ব্যক্তি প্রায়শই মনস্তাত্ত্বিক ভাবে কম চিত্তাকর্ষক হয়। বিপ্লবীরা সব সময়ে নিজেদের নিয়ে ভাবে না। এখানে আমি বরং সেই যুবকটির (সিদ্ধার্থের) প্রতি বেশি আগ্রহী যার কোনো দৃঢ় রাজনৈতিক বিশ্বাস নেই, সে চায় চাকরি, তা যে-কোনো রাজত্বেই হোক না কেন। সে ভাবে তার নিজের কথা এবং সে জন্য সে কষ্ট পায়।”
.
সিনেমাটা আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তাকে কম বেগ দেয়নি। নিউইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয় প্রতিদ্বন্দ্বী এবং তার পরের দিন নিউইয়র্ক টাইমসে The Adversary কে “moving comedy of Ex-medical student” হিসাবে উল্লেখ করে অত্যন্ত নেগেটিভ একটা রিভিউ বেরোয়। তার সিনেমার মুখ্য চরিত্র কেমন বোকা বোকা জামাকাপড় পরে ভয়ানক ভীড় বাসে যাতায়াত করে। কোন নায়কসুলভ চার্ম নেই, অথচ কথায় কথায় ইন্টারভিউতে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা দেখায়, শো অফ- ইত্যাদি প্রভৃতি! ভিয়েতনামকে গ্লোরিফাই করা সিনেমা ম্যাকনামারার দেশ হজম করতে পারেনি।
.
তিন যুবকের চোখ দিয়ে মহানগরের তলপেট অব্দি দেখার যে যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭০ এ, তার প্রথম চরিত্র সিদ্ধার্থ। এই ছবিটা একটা অদ্ভুৎ চৌরাস্তার মোড়ে এসে একা ছেড়ে দিয়েছিল আমায় যখন পিরিয়ডিক নলেজ শুধুমাত্র পড়াশুনা করে জানতে হয়েছে। ১৯৭০ আসলে সেরকম এক সালই বটে যা তার পরের এক দশককে শুধু ওই এক শব্দ ‘সত্তর’ দিয়ে ব্যাখ্যা করার শক্তি রাখে। বস্তুতঃ যারা বেঁচে আছেন সে গল্প বলার জন্যে তাদের কাছে সেটা ছিল নিজের ভেতরে আরেক জন্ম প্রত্যক্ষ করার সময়, সত্তরে না বাঁচলে সত্তরকে অনুভব করা দুঃসাধ্য ব্যাপার।
.
আজ আরও একটা সময় এসেছে যার কেন্দ্রে আমি আছি। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে। নেতাদের মিথ্যাচার আছে। বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় গড়াগড়ি যাওয়া লাশ আছে৷ ক্ষিদে পেটে চালের বস্তা লুঠ করা আছে, তিয়াত্তরটি বসন্ত পেরোনো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ধর্ম দিয়েই ভাঙাভাঙি আছে। বিত্তের অশ্লীল বিজ্ঞাপন আছে, মিথ্যের স্বাভাবিক যাপন আছে।
.
শিল্পীও আছেন, দেখছি। টিকটকে পিৎজা বানাচ্ছেন। কবিও আছেন, দেখছি। চেয়ার মুছে দিচ্ছেন। সাংবাদিক ফুটেজ বাড়িয়ে দিচ্ছেন, মাঝেমধ্যে নাড়িয়েও নিচ্ছেন – লেজ। দেখছি। আপনি, আপনারাও আরেকবার প্রতিদ্বন্দ্বী দেখুন না আজ ইউটিউবে! একঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিটের সেই শেষ অংশটুকুতে যখন একবগ্গা গোঁয়ার স্পর্ধার যৌবন টেবিলে চাপড় মেরে বলে “I need an answer. I need an answer.” – ভাল করে মন দিয়ে কান পেতে শুনুন। চারিদিকের গোলমাল, লোকের চিৎকার, বড়কত্তাদের “বেরিয়ে যান! বেরিয়ে যান বলছি!” এসব গুচ্ছের আওয়াজের মধ্যে কষ্ট করে একবার কান খাড়া করে শুনুন। কয়েক সেকেন্ডের জন্যে সিদ্ধার্থের চাপা হিসহিসে একটা গলা শুনতে পাবেন…
.
“যাবো! সব ভেঙে দিয়ে যাবো।”

“চাইলে….ভালোবাসতেই পারি”

এই পৃথিবীর আনাচে কানাচে যত ক্ষুধার্ত শিশু এবং তাদের শব ছড়িয়ে থাকে, এই অর্ধমৃত, অশ্লীল সময়ে যখন আমরা একে অপরের আশ্রয় হতে ভুলে যাই, এই অসময়ে – যখন এক একজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে রাষ্ট্র এতখানি তৎপর, তবে হাত ধরলে, ভালোবাসলে, হাতে হাতে ব্যারিকেড গড়ে তুললে আমরা পুনর্বার প্রাণ উত্থাপন করতেই পারি জেনে রাখবেন। এই মৃত মহাদেশে বারবার রোদ্দুর হয়ে উঠতে পারি। আমাদের সব অভাব, অনটন, না-পাওয়া, হারিয়ে যাওয়া এবং নিপীড়ণের উত্তর – যাকে ছাড়া বিপ্লবে বিক্ষোভে আমরা গর্জে উঠলেও আমাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছোবেনা যেখানে যেখানে পৌঁছনো দরকার, সেই ভালোবাসার দিনক্ষণ লাগেনা। আর বাজারীকরণ যাই করুক না কেন, আবেগের স্থিতিশীলতা তার নিয়ন্ত্রণে নেই। এখনো আমরা পারি, আমরাই পারি – বন্ধনের উষ্ণতায় সমস্ত হতাশার সীমান্ত পেরিয়ে যেতে।সীমান্ত আমরা বানাই, সীমান্ত আমাদের কোনোকিছুই নির্ধারণ করে না যদি না আমরা তেমনটা চাই। ওদের তৈরী করা যাবতীয় লোহার প্রাচীর এবং দেওয়াল এখনো, এখনো আমরা ভেঙে ফেলতেই পারি…এখনো জড়বস্তুর স্তূপ ভেঙে দিয়ে সবুজ উদ্ভিদ প্রকান্ড বটগাছ হয়ে উঠতেই পারে, এখনো মিসাইল, হাইড্রোজেন বোমা, পারমাণবিক চুল্লিগুলো আমরাই বন্ধ করে দিতে পারি। চাইলে পারি, এখনই পারি। ওরা শুধু চায় আমরা বিস্মৃত হই,আমরা যেন কিছুতেই না জানতে পারি, মনে করতে পারি আমরা কি কি পারি। তবে আমরা তো জানি, আমরা ভালোবাসতে পারি। চাইলে….ভালোবাসতেই পারি।

“Fate”

Sometimes fate is like a small sandstorm that keeps changing directions. You change direction but the sandstorm chases you. You turn again, but the storm adjusts. Over and over you play this out, like some ominous dance with death just before dawn. Why? Because this storm isn’t something that blew in from far away, something that has nothing to do with you. This storm is you. Something inside of you. So all you can do is give in to it, step right inside the storm, closing your eyes and plugging up your ears so the sand doesn’t get in, and walk through it, step by step. There’s no sun there, no moon, no direction, no sense of time. Just fine white sand swirling up into the sky like pulverized bones. That’s the kind of sandstorm you need to imagine.

“একটা আস্ত ‘নেই’…”

এই প্রজন্ম অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে ধরে রাখার,ধরে থাকার যাবতীয় প্রতিশ্রুতি। বিস্তর অহংকারের ভাঁজে নিজের মজ্জাগত পাপ এবং পাপবোধ ভুলে গেলেও,এখন কখনো কখনো মনে পড়ে যায় – একটা আস্ত ‘নেই’ নিয়ে বাঁচতে হবে। কি যেন নেই,কখনো ছিলনা,আজীবন একটা ‘নেই’ তাড়া করে ফেরে পাহাড়ি রাস্তার বাঁকের মতো। হাত বাড়ালে,স্বপ্ন দেখলে,কবিতা লিখলে,সাঁতার কাটলে,উড়তে শিখলেও কোনোদিন আসবেনা। এই দায়ভার কারা নেবে? পুজিঁবাদীদের দল? কনজারভেটিভ পার্টি? এই অসম্ভব দমবন্ধ করা অনুভূতির ভার,এই প্রজন্মের বিস্তর ভারে চাপা পড়তে পড়তে আমরা অন্ধ হয়ে যাব ঠিক। এই যে আপনি,আপনাকে বলছি…কিছুটা ভার ভাগ করে নিলে আমরা তো ঘুড়ি ওড়াতে ওড়াতে নিজেরাও গোধূলিতে পাখিদের সারিতে ডানা মেলার চেষ্টা করে দেখতাম। চেষ্টা করে দেখবেন একবার?